প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।
সভাপতির বাণী

শুভেচ্ছা নিবেন। বিদ্যালয়টি ২৫ বছরে পদার্পন করায় সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের আশা করছি। আপনাদের সহযোগীতা পেলে অত্যন্ত জাকজমকভাবে দিনটি পালিত হবে। কেশবপুর উপজেলার মধ্যে দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আলতাপোল গ্রামে আলতাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়া আর কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাই। বিদ্যালয়টি গ্রামের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এই বিদ্যালয়টি স্থাপনের ফলে অবহেলিত জনপদের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার বৃদ্ধি করছে। কর্মক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে পরিবার সমাজকে করছে অলংকৃত। আজ এই দিনে আমি বিশ্বাস করি প্রতিষ্ঠানটি আলোকিত মানুষ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রধান শিক্ষকের বাণী

আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। আমি মোঃ আব্দুল আজিজ, প্রধান শিক্ষক, আলতাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর, যশোর। অত্র প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০০ সালে। এলাকার বিশিষ্ট্য সমাজসেবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সুধী মন্ডলী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ স্বপ্ন দেখেছিল পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর শিক্ষার মূল ধারায়।
যুক্ত করতে না পারলে সামগ্রীকভাবে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই যশোর-সাতক্ষীরা রোডের কেশবপুর সদর থেকে ৫ কিলোমিটার চুকনগর রোডের ২৩ মাইল বাজার একেবারে হাইওয়ে রোডের সন্নিকটে গ্রাম্য পরিবেশে প্রকৃতিক শোভায় শোভা মন্ডীত স্থাপিত প্রতিষ্ঠনটি। প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে কুঠির শিল্প কারিগরদের অধিকাংশ সন্তান অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। তাদের স্বপ্ন এ শিল্পের মাধ্যমে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। আর সন্ধানরা অত্র প্রতিষ্ঠানে লেখা পড়ায় মাধ্যমে সুশিক্ষিত হয়ে ব্যক্তি জীবনের পরিবর্তন শুধু ঘটাবে না তারা পারিবারিক, সামাজিক সর্বপরী রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিষ্ঠানটি যে আশা বা স্বপ্ন নিয়ে তৈরি হয়েছিল তা শতভাগ পূর্ণ না হলেও এতটুকু হয়েছে। সূর্যের আলোয় আলোকিত না হলেও চাঁদের আলোয় শিক্ষার্থীদের আলোকীত করতে পেরেছে। কারণ চাঁদের আলো অন্ধকারে পথ দেখাতে সাহায্য করবে। সেই পথ ধরে চলে যাবে জ্ঞান সমুদ্রের মাঝে সেখান থেকে তুমি যত খুশী জ্ঞান আহরণ করো। প্রতিষ্ঠানটি ২৫ বছরে পদার্পন করেছে। সাথে সাথে আমরা অহংকার করি আমাদের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের প্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ গ্রহণ করতে পারছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সর্বচ্চো বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে কেউ ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ব্যাংকার, ভাল শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করে রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই আমি নিরদ্ধিায় বলতে পারি যে স্বপ্ন নিয়ে বীজ বপন করেছিল আজ তাতে শুধু ফল ধরছে না, ফুলের সৌরভ বিলাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। বিনা বেতনে ২৩টি বছর শিক্ষক কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করেছে। অনেকে দীর্ঘদিন এম,পিও না হওয়ায় চাকুরী ছেড়েছে আর যারা টিকিয়ে আছে বিদ্যালয়ের গাথুনীর ইট তাদের সন্তান মনেকরে ছাড়তে পারিনি। অবশেষে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারী জুনিয়র পর্যন্ত এম, পিও ভুক্ত হয়। বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক কর্মচারী এম,পিও ভুক্ত হয়েছে। বাকী ১ জন শিক্ষক, ০১ জন কর্মচারী বেতনের অপেক্ষায় আছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩২ জন। বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক পর্যন্ত এম,পিও হওয়া প্রয়োজন। একটি বহুতল নতুন ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষার পড়ালেখা করতে চাই এই পশ্চাৎপদ অবহেলিত জনগোষ্ঠির সন্তানেরা। আমার স্বপ্ন শিক্ষকমন্ডলীকে সাথে নিয়ে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করবো। ঘরে ঘরে মানসম্মত শিক্ষায় গড়েউঠা যুবক শ্রেণি সৃষ্টি করবো। যুবকরা নিজেকে প্রস্তুত করবে, তারা জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার স্বপ্ন দেখাবে। আমি এই প্রত্যাশা করি।